অদ্ভুত গর্ত, মৃত পশু গর্তে ফেললে জীবিত হয়ে যায়
সেল’স হোল নামে আমেরিকাতে একটা গর্ত খোজেঁ পাওয়া গেছে, যেখানে মৃত পশু ফেললেও জীবিত হয়ে ফিরে আসে

অদ্ভুত গর্ত ‘টির নাম মেল’স হোল, যার গভীরতার শেষ নাই।ওয়াশিংটনের এলনসবার্গে এই গর্তটি দৃশ্যমান রয়েছে। এই গর্তে কোন জিনিস ফেললেও শব্দ হয় না।এমনকি গর্তের মুখে শব্দ করলেও কোন শব্দ বা প্রতিধ্বনি হয় না।এই গর্তটির তলানাই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ফলে গর্তটিকে তলাবিহীন গর্ত নামেও পরিচিতি লাভ করেছে।
অদ্ভুত গর্ত মেল’স হোলঃ ১ম পর্ব
অনেক দিন আগে একটি এফএম রেডিও চ্যানেল ছিল যার নাম ছিল কোস্ট টু কোস্ট।যে চ্যানেলে কোন আজগুবি বা বাজে গান বাজনা প্রচার করা হত না।এই চ্যানেলে প্রচার করা হত কেবল মাত্র মিস্টেরিয়াস, ইন্টেলিজেন্স এবং প্যারানরমাল সব গল্প।
এই এফএম কোস্ট টু কোস্ট রেডিও চ্যানেলে অনেক রহস্যপূর্ণ গল্প বডকাস্ট করা হত।সেই রহস্যপূর্ণ গল্প প্রচারের জন্য কোস্ট টু কোস্ট নামক চ্যানেলটি অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।সেই জনপ্রিয় চ্যানেলে আজ অবধি যতগুলো গল্প প্রচার করা হয়েছে।তার মধ্যে একটি রহস্যপূর্ণ গল্প সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল।
গল্পের শুরুতে হয়ত আপনারা জানতে পেরেছেন যে, বিশ্বের লোকজন মেল’স হোল গর্তটিকে কেন অতিপ্রাকৃত বলে মনে করতেন কেন।এবার আপনাদের জানাবো মেল’স হোল গর্তের আসল রহস্য-
মেল হল সেই অদ্ভুদ গর্তের মালিক যার নামানুসারে গর্তের নামকরন করা হয় মেল’স হোল। এই মেলের জীবন চলার পথে অনেক অদ্ভুদ ঘটনা ঘটতে থাকে।কোন একদিন মেল সেই অদ্ভুদ গর্তের কাছে যান আরও রহস্যের তথ্য জানার জন্যে।সেই সময়ে গর্তের কাছে দু’জন স্যুট পড়া ব্যক্তিকে দেখতে পান।সেই স্যুট পড়া দুইজন ব্যক্তি মেল ওয়াটারকে বলেন যে, তুমি এই গর্তের মালিক বলে দাবি করবে না এবং তুমি এই গর্তের কাছে কোনদিন আসবে না।আর যদি আসো তোমাকে আমরা অনেক ক্ষতি করবো কারন এটা সরকারি ভূমি বলে দাবি জানিয়েছে সরকার।কিন্তু মেল ওয়াটার বলেন এটা আমার জমি।আমি এটা ক্রয় করেছি।কেন এটা আমি দাবি করতে পারবো না? কেন এই গর্তের কাছে যেতে পারবো না।তখন কালো স্যুট পরা ব্যক্তি মেল ওয়াটারকে বলেন যে, এখানে একটা ছোট প্লেন ক্রাশ করেছিল।তাই এই গর্তকে ঘিরিয়ে রাখা হয়েছে।এখন আমরা এটাকে বিশ্লেষন করতেছি।

এখন তোমার বাড়ি এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে দূরে ভাল কোন জায়গায় বসতভিটা তৈরী করে নেও।কিন্তু আমরা তোমার কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি নয় এবং কি তুমি এই বিষয়ে দ্বিতীয় বারের মত কোন প্রশ্ন করতে পারবে না। এই কথা গুলো শুনে মেল ওয়াটান বুঝতে পারেন যে, এই দুইজন বদ্র লোক কোন প্লেন ক্রাশ বা অন্যকিছুর জন্য আসেনি তারা এসেছে কেবল এই গর্তের জন্যই।
আর্ ঐ কালো স্যুট পরা ব্যক্তি দুইজন এফএম রেডিও কোস্ট টু কোস্ট চ্যানেলের গল্প শুনার মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন।সেই কালো স্যুট পরা ব্যক্তি দু’জন গর্তের মালিক মেল কে বললো যে, মেল তুমি যদি এই গর্ত ছেড়ে না দেও তাহলে আমরা তোমাকে তোমার বাড়িতে অ্যালকোহল গোপনে রেখে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিব।
কিন্তু এসব করার আগে তোমার জন্য একটা সুযোগ আছে। তুমি কি সেই সুযোগ গ্রহন করবে? মেল বলে যে, হ্যাঁ বলুন আমি চেষ্টা করবো।তখন কোট পড়া সেই ব্যক্তিগুলো তাকে আড়াই লক্ষ ডলার দিতে চাইল এবং বললো যে তুমি দূরে অন্য কোথাও গিয়ে ভাল ভূমি ক্রয় করে সেখানে বসত বাড়ি তৈরী করে জীবন যাপন শুরু কর।সেই সময় মেল ওয়াটার ভাবতে লাগলো যে সুযোগটা তিনি নিয়েই নিবেন।কারণ সেই সময় মেল ওয়াটারের আর্থিক অবস্থা তেমন স্বচ্ছল ছিলনা।
এইদিকে তিনি নিরুপায় হয়ে পড়ে ছিলেন কারন ভূমি হস্তক্ষেপ করেছে সরকার।আবার সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথাও বলেছে।যা বাংলাদেশের টাকার হিসেবে টাকার পরিমাণ হয় ২১ কোটি টাকার মতো।তিনি আরও ভাবলেন যে, তিনি যদি সরকারের দেওয়া টাকা নিয়ে অন্য কোথাও জমি ক্রয় করে বসতবাড়ি স্থাপন করে তাহলে তিনি বাকি জীবন খুব স্বচ্ছলভাবে কাটাতে পারবে।
অবশেষে মেল ওয়াটার টাকা গুালো নিয়ে চলে যায় অস্ট্রেলিয়ায়।আর সেখানেই ভাল একটা ভূমি ক্রয় করে বসতবাড়ি গড়ে তুলে বসবাস করা শুরু করে দেয়।সেখানে মেলের জীবন যাপন ভালই কাটছিল কিন্তু সেখানে মেল ওয়াটারের হোম সিকনেস হয়ে যায়।
আপনারা হয়ত মনে করতাছেন হোম সিকনেস একটা রোগ কিন্তু হোম সিকনেস আসলেইে একটা রোগ না।অনেকদিন নিজের জন্ম স্থান থেকে দূরে থাকার ফলে বাড়িতে বেড়াতে যে প্রবল ইচ্ছা বা বাড়ির প্রতি যে মায়া বা টান তৈরি হয়, তাকেই হোম সিকনেস বলে।কিছুদিন পরে ২০০০ সালের প্রথম দিকে মেল ওয়াটার তার পরিবাকে নিয়ে আবার আমেরিকাতে ফিরে আসেন।
মেল তার পরিবারের সকল মেম্বারদের বলেন যে, এই গাড়িতে এপার্টমেন্টে গিয়ে ওঠো আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসছি।আসলে মেল তখন নিজ বাড়ি জন্ম স্থানে মায়ার টানে রওনা দেন।মেল বাসে করে নিজ জন্মস্থানে যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেন।তবে হঠাৎ করে রাস্তার মাঝে যেতে না যেতেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।এই অজ্ঞান হওয়ার পর যখন সে জ্ঞান ফিরে পেয়ে সুস্থ হোন তখন সে জানতে পারেন যে, তিনি প্রায় ১২ দিন অজ্ঞান হয়েছিলেন।তাকে হাসপাতালে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তি করা হয়েছিল।যখন তিনি অজ্ঞান থেকে সুস্থ্য হয়ে উঠেন তখন তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগ দেখতে পান এবং সেই ক্ষত স্থানে ঘা হয়ে গিয়েছিল।
ডাক্তাররা তাকে বলে ছিলেন যে, সরকার থেকে তাদের নিষেদ করা হয়েছে তাকে ঘটনার বিস্তারিক সম্পর্কে জানাতে।তাই তারা তাকে আর ঘটনা সম্পর্কে কিছুই বলেননি।তারপর পরোপুরি সুস্থ্য হয়ে মেলের ফ্যামিলি মেম্বারদের সকলকে সবকিছুই বলে দেন।তিনি আবার নিজ বাড়ি জন্ম স্থানের দিকে রওনা হোন যেটা হাসপাতাল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে ছিল।
কিছু সময় পরেই মেল তার নিজ বাড়িতে হাজির হোন।তিনি সেখানে গিয়ে তার আগের বাড়ির কোন অস্তিত্ব খোজেঁ পেলেন না।সেখানে নিয়োজিত কর্মচারীদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন যে, সেখানে সরকার থেকে সিল করা হয়েছে।এখন এটা সরকারি ভূমি বলে দখলে আছে।

এই ঘটনা শুনে মেল ওয়াটা রাগে বদলা নিতে চান এবং মেল ওয়াটার সেই জনপ্রিয় এফএম রেডিও কোস্ট টু কোস্ট চ্যানেলের শোয়ের হোস্টের সাথে দেখা করেনে এবং সব ঘটনা খুলে বলেন। পরবর্তিতে সেই গল্পের সত্যতা যাচায়ের জন্য সেই হোস্ট ও মেল ওয়াটার গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে সবকিছু জানার জন্য যান।
তারা গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে থেকে শোনতে পারেন যে, কিছুদিন আগে মিলিটারি প্লেন উড়াতে দেখতে পান এবং সেখানে নানান রকম যুদ্ধা্স্ত্রের ব্যবহারও দেখতে পান।সেই সাথে উচ্চ শব্দ করে কনস্ট্রাকশনের কাজও করা হচ্ছিল।
পরবর্তীতে এই সবকিছু শুনে সেই হোস্ট একটি ঘটনা তৈরী করে এবং জনপ্রিয় সেই কোস্ট টু কোস্ট চ্যানেলে প্রচার করে।তারপর থেকে মেল ওয়াটার আরও এই রকম অদ্ভুত গর্ত খোজঁতে থাকে।অনেক খোজাঁ খোজিঁর পর মেল ওয়াটার পাশের একটা গ্রামে আরও একটি গর্ত খোজেঁ পান এবং সেই থেকেই আবারও ঘটতে থাকে অদ্ভত সব ঘটনা
সেই সব ঘটনা জানতে হলে আমাদের আপডেট খবরের সঙ্গেই থাকুন আরও মজার মজার গল্প আপনার কাছে থাকলে আপনার নাম, ঠিকানা এবং যোগাযোগ নাম্বার দিয়ে বাংলায় লিখে পাঠিয়ে দিন আমাদের আপডেট খবর মেইলে।
এই আর্টিকেল বা অন্য যেকোন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তাৎক্ষনিক উত্তর পেতে আমাদের আপডেট খবর ফোরামে ভিজিট করে প্রশ্ন করুন। Website Forum: http://updatekhobor.com/forum
ধন্যবাদ সবাই কে সময় দিয়ে পড়ার জন্য।