
জলবায়ূ পরিবর্তন মানবজাতির ইতিহাসে, বর্তমানে আমরা সবচেয়ে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন।বিগত কয়েক যুগ ধরে জলবায়ূ পরিবর্তন ছিল বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যৎ বাণী।বর্তমানে বিষয়টি আর ভবিষ্যৎ বাণীর পর্যায়ে নেই।
জলবায়ূ পরিবর্তনে বর্তমান ও ভবিষৎ:
মানবজাতির ইতিহাসে প্রথমবারের মত মানুষ জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাবে সরাসরি ভুক্তভোগী হচ্ছে।অধিক শক্তির ঘূর্ণিঝড়, অতিরিক্ত বন্যা, অত্যাধিক উষ্ণ আবহাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি-এসব ঘুটেছে বিজ্ঞানীদের ধারণার চেয়েও দ্রুত গতিতে।এভাবে চলতে থাকলে মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ যে ভয়াবহ, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কোন মতভেদ নেই।
জলবায়ূ পরিবর্তনে বিজ্ঞানীদের মতামত:
বিজ্ঞানীরা বলছেন-দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে, জলবায়ূ পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।মূলত একটি কারণে পৃথিবীর জলবায়ূ পরিবর্তিত হচ্ছে।বায়ুমন্ডলেন উষ্ণতা বৃদ্ধি! এবং এটি ঘটছে মূলত খনিজ তেল, গ্যাস ও কয়লা ব্যবহারের ফলে। জ্বালানিগুলো পুড়ে মূলত তাপশক্তি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং জলীয়বাষ্প উৎপন্ন হয়।কার্বন-ডাই-অক্সাইড বায়ুমন্ডলে অনেকটা চাদরের মত কাজ করে।সূর্য থেকে অধিকতর তাপ শোষণ করে। বায়ুমন্ডলকে উওপ্ত করে তোলে।

জলবায়ূ পরিবর্তন নিয়ে গবেষকরা:
বিজ্ঞানীদের মতে, বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে-২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে।এবং ২০৫০ সালের মধ্যে আনতে হবে শূন্যের কোঠায়।কিন্তু, জ্বালানি তেলের ব্যবহার বন্ধ করা আদৌ কী সম্ভব? ৫০ বছর আগে হয়তো সম্ভব ছিলো না-কিন্তু, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এখন সম্ভব খুব সহজেই।
জলবায়ূ পরিবর্তন এ প্রযুক্তির ব্যবহার:
সৌরবিদ্যুৎ এবং বায়ু বিদ্যুৎতের ব্যয় কমেছে নাটকীয়ভাবে! পারমাণবিক বিদ্যুতের প্রযুক্তিও বর্তমানে অধিকতর নিরাপদ। বিদ্যুৎচারিত গাড়ি হয়ে উঠছে সহজলভ্য আর নির্ভরযোগ্য।প্রয়োজন শুধু বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সদিচ্ছা এবং কিছু সাহসী পদক্ষেপ।হাতে হয়তো খুব বেশি সময় নেই, কিন্তু, এখনো সময় আছে। যা করার, করতে হবে এখনই। তবেই বেঁচে থাকবে পৃথিবী, ভালো থাকবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

এই আর্টিকেল বা অন্য যেকোন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তাৎক্ষনিক উত্তর পেতে আমাদের আপডেট খবর ফোরামে ভিজিট করে প্রশ্ন করুন। Forum: http://updatekhobor.com/forum