বিজ্ঞান ও প্রকৌশলবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

পদ্মা সেতু নির্মাণে ‘র বর্তমান ও অতীত ইতিহাস

পদ্মা সেতু নির্মাণে -:-  বাঙালী জাতির স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু বহুমুখী সেতু।এই পদ্মা সেতু একদিনের পরিকল্পনায় গড়ে উঠেনি। এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ নির্মাণযজ্ঞ।৬.১৫ কি.মি. দৈর্ঘ্যের সেতুটি দক্ষিণ বঙ্গের সাথে যোগাযোগে আনবে আমূল পরিবর্তন। ইতিমধ্যে মূল সেতুর ৯০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের প্রথম দিকে কাজ সম্পন্ন হবে।কিন্তু, এই বিশাল নির্মাণযজ্ঞ বাংলাদেশের জন্য মোটেই সহজ ছিল না।পদ্মা সেতুর প্রথম দরপত্র আহব্বান করা হয় ২০১০ সালে।শুরুতেই পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে উহ্থান ঘটে। দুনীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক সেতুটির অর্থায়নে সরে যায়।

যদিও ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ কানাডিয়ান আদালতে সম্পূর্ণরূপে ভুল প্রমাণিত হয়।কিন্তু, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার ইতিহাসের অন্যতম সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে নেয়।বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পরপরই নিজ নিজ অর্থায়নে সেতুটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

২০১৪ সালে চায়না মেজর ব্রিজ ইজ্ঞিন. কোম্পানিকে মূল সেতু নির্মাণের জন্য নির্বাচিত করা হয়।এর পরথেকেই পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে থাকে প্রকল্পটি।ইতিমধ্যে সেতুর সবগুলো স্প্যান স্থাপন হয়েছে।সংযুক্ত হয়েছে পদ্মার দুই প্রান্ত।

কিন্তু, এই মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়নে পিলার এবং স্প্যান বসাতে চ্যালেজ্ঞের অন্ত ছিল না।সবচেয়ে বড় বাধা ছিল এখানকার নরম মাটি।মাটি এতোটাই নরম যে, কোন কোন পাইলিং পৌছাতে হয়েছে ১২২ মিটার পর্যন্ত।যা পৃথিবীর আর কোন ব্রিজের ক্ষেত্রেই করতে হয়নি।এসব চ্যালেজ্ঞ মোকাবিলায় বাধ্য হয়েই ব্যবহার করতে হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

পদ্মা সেতু নির্মাণে ইতিহাস-padma-bridge-completes
পদ্মা সেতু নির্মাণে ইতিহাস-padma-bridge-completes

মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলোতে ব্যবহ্রত হয়েছে অত্যাধুনিক কিছু রোবট।ভবিষ্যতে সেতু পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহ্রত হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।ফলে, বিপদের সম্ভাবনা থাকলে আগে থেকেই তা অনুমান করা সম্ভব হবে।

এই আর্টিকেল বা অন্য যেকোন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তাৎক্ষনিক উত্তর পেতে আমাদের আপডেট খবর ফোরামে ভিজিট করে প্রশ্ন করে তাৎক্ষনিক উত্তর জেনে নিন
: http://updatekhobor.com/forum

পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতু নয়-এটি দক্ষিণ বঙ্গের ৩ কোটি মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন।দলমত নির্বিশেষে বাংদেশের সামর্থ্যের প্রতিফলন।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক-ষড়যন্ত্রের একটি মোক্ষম জবাব।বিশ্বের সামনে বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের হুম্কার-আমরাও পারি!

এই পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ণের প্রধান টাকার উৎস হলো বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক সহযোগিতা। বাংলার মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য পদ্মা সেতু নির্মানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার এক অদম্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

Show More

Related Articles

Back to top button
ব্রেকিং নিউজ