পিঁপড়া সঙ্গবদ্ধের প্রতিক হিসেবে চিহ্নিত কেন?

পিঁপড়া সঙ্গবদ্ধের প্রতিক -:- সমুদ্র থেকে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টন পানি বাষ্পীভূত হয়।পৃথিবীর ঘূর্ণনে এবং বাতাসের গতি নির্ধারণ করে দেয়-মেঘমালা কোনদিকে ধাবিত হবে।ফলে, অঞ্চলভেদে বৃষ্টির পরিমাণের ব্যাপক তারতম্য ঘটে।আমাজন রেইন ফরেস্ট পৃথিবীর সবচেয়ে বৃষ্টিপাত প্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি।এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৩ মিটার।প্রতি বছর আমাজনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বর্ষায় প্লাবিত হয়-এবং জঙ্গল পরিণত হয় মৌসুমি জলাভূমিতে।পিঁপড়া বা অন্য কোন প্রাণীর গাছে উঠে পড়া কিংবা সাঁতার কাটা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।কিন্তু, একটি প্রাণী এই দুর্যোগকে সুযোগে পরিণত করে।
পিঁপড়ার জীবন্ত সেতু:
বর্ষায় পিঁপড়াদের আবাসভূমি প্রায়ই প্লাবিত হয়।ফলে, ভূগর্ভসস্থ বাসা ছেড়ে এরা বাধ্য হয় উপরে উঠে আসতে।কর্মী এবং সৈনিক পিঁপড়াগুলো নবাগতদের রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করে।এদের আবাসভূমি নিমজ্জিত হওয়ার সাথে সাথে পিঁপড়া-কলোনি ধ্বংসের মুখে পতিত হয়।কিন্তু, বিশৃঙ্খলা থেকেই শৃঙ্খলার উত্থান ঘটে।পিঁপড়াগুলো পায়ের সাহায্যে একে অপরের সাথে বন্ধন তৈরি করে।তৈরি করে একটি জীবন্ত ভেলা।তাদের কোন রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে ফাঁকা রাস্তা থাকলে পিঁপড়াতের শরীর দিয়ে তৈরী করার চেষ্টা করে জীবন্ত সেতু।এবং সেই জীবন্ত সেতুটি তৈরী করা হয়ে গেলেই সেতুটিকে প্রয়োজন অনুযায়ী আকার পরিবর্তন করে নেয়।

পিঁপড়া সঙ্গবদ্ধের প্রতিক – জীবন্ত ভেলা ও গঠন প্রণালী:
মানুষের কনুই সদৃশ্য শুঙ্গ এবং গ্রন্থির সদৃশ্য যে গঠন কাঠামো দিয়ে যে সরু মাজা বা কোমড় গঠিত হয় তার মাধ্যমে পিঁপড়াকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়।পিঁপড়া দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। তারা কখনো একাকী বাস করে না।তারা প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হওয়া কয়েকশ পিঁপড়া হতে কয়েক লক্ষ পিঁপড়া এক হয়ে এক বিশাল এলাকাজুড়ে থাকতে পারে। পিঁপড়ার শরীর অতি সূক্ষ লোমে আবৃত, যা দেহের চারপাশে বাতাস ধরে রাখে। পিঁপড়া বন্যার পানিতে ভেসে গেলে তখন তারা নিজেদের শরীর দিয়ে জীবন্ত ভেলা তৈরী করে। ভেলা তৈরি হয়ে গেলে, এই বাতাসই এদের ভাসিয়ে রাখে।ছোট-বড় এমনকি লার্ভাগুলোরও জায়গা হয় এই জীবন্ত ভেলায়।অতঃপর এরা স্রোতের টানে এগিয়ে চলে।লার্ভা এবং রানীকে এরা ভেলার মাঝখানে পরম যত্নে আগলে রাখে।

পিঁপড়া আত্মরক্ষায় পদক্ষেপ:
এ অবস্থায় এরা সহজেই মাছ এবং জলজ পতঙ্গের আত্রুমনের শিকার হয়।বিচ্ছিন্ন কাউকে যত দ্রুত সম্ভব ভেলায় ফিরে আসতে হবে।পিঁপড়ারা সংঘবদ্ধভাবে ভেলার চারপাশে প্রতিরক্ষা দেয়াল গড়ে তোলে।ফলে, আগ্রাসী পতঙ্গগুলো হার মানতে বাধ্য হয়।পিঁপড়ার দল এভাবে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত ভেসে থাকতে সক্ষম! এ সময় এরা অপেক্ষায় থাকে নতুন কোন বসবাসযোগ্য গন্তব্যের।নতুন গন্তব্য খুঁজে পেলেই জীবন্ত ভেলার অবসান ঘটে।সৈনিক পিঁপড়াগুলো প্রথমে পদার্পণ করে-দখল করে নতুন আবাসভূমি।
এই আর্টিকেল বা অন্য যেকোন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তাৎক্ষনিক উত্তর পেতে আমাদের আপডেট খবর ফোরামে ভিজিট করে প্রশ্ন করুন। Forum: http://updatekhobor.com/forum
পৃথিবীর প্রতিটি জাতিকেই কঠিন সময় অতিবাহিত করতে হয়।একমাত্র সংঘবদ্ধ শক্তিই কঠিন সময়কে রুখে দিতে পারে।যে জাতি যত বেশি সংঘবদ্ধ, সে জাতি তত বেশি সফল।
- প্রাণীজগতের অসাধারণ মা’দের ভালবাসার ইতিহাস
- চোখের পলকেই মহাবিশ্বের বিষ্ময়কর ঘটনা!
- মঙ্গলগ্রহে মানুষ বসবাস করার আগ্রহ প্রকাশ করছে?
- যেখানে সাঁতার না জেনেও অনায়াসে ভেসে থাকা যায়!