প্রাণীজগতের অসাধারণ মা ’দের ভালবাসার ইতিহাস

প্রাণীজগতের অসাধারণ মা। ডিম পাহারায় ব্যস্ত মা-অক্টোপাস। অনেক সময় নিজের পা খেয়ে ফেলে।এরপরও খাবারের খোঁজে ডিম ছেড়ে যায় না।
প্রাণীজগতের অসাধারণ মা-চিতা:
মা-চিতা অন্য চিতাদের অগোচরে সন্তানদের বড় করে তোলে।সে প্রতি ৪ দিনে একবার বাচ্চাদের স্থানান্তর করে।যেন শিকারি প্রাণীরা বাচ্চাদের খোঁজ না পায়।

প্রাণীজগতের অসাধারণ ত্র্যুাব স্পাইডার মা:
প্রাণীজগতের অসাধারণ মা ত্র্যুাব স্পাইডার।ত্র্যুাব স্পাইডার মা নিজেকে নবাগতদের খাদ্য হিসেবে উৎসর্গ করে।শিশু ত্র্যুাব স্পাইডারের শিকারের সামর্থ্য নেই।ফলে, মায়ের আত্রাত্যাগই শিশুদের পরিণত করে তোলার একমাত্র পন্থা।

প্রাণীজগতের অসাধারণ মা এম্পেরার পেঙ্গুইন:
মা এম্পেরার পেঙ্গুইন।শিশুর খাবার জোগাতে ৮০ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দেয়।এরপর একই পথ পাড়ি দিয়ে আবার সন্তানের কাছে ফিরে আসে।

মা হর্নবিল:
হর্নবিল সন্তানের জন্য নিজেকে বন্দী করে ফেলে।এসময় প্রায় ২ মাস ধরে এরা গাছের গর্তের বাইরে আসে না।শুধুমাত্র সন্তান বড় হলেই এরা বাইরে বের হয়।মা ওরাংওটান ৬-৭ বছর ধরে সন্তানের সার্বক্ষণিক যত্ন নেয়।প্রাণী জগতে এটিই সর্বাধিক সময়ের সার্বক্ষনিক বন্ধন।

উলফ মাকড়সা একটি জালিকায় ডিম পাড়ে এবং পিঠের সাথে আটকে রাখে।পরিণত না হওয়া পর্যন্ত মা তার শিশুদের পিঠে বহন করে।
মা হার্প সিল:
হার্প সিল সদ্যজাত সন্তানকে টানা ১২ দিন ধরে বুকের দুধ খাওয়ায়।এ সময় এরা কোন খাবার গ্রহন করে না।ফলে, হার্প সিল শিশুর ওজন প্রতি দিন প্রায় ২ কেজি হারে বাড়ে।এসময় মা সিলের প্রতিদিন ওজন কমে ৩ কেজি।

মা কুমির:
মা কুমির নিরাপদ রাখতে শিশুদের মুখে বহন করে।স্ত্রী কুমির বাসার তাপমাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে শিশুদের লিঙ্গ নির্ধারন করে।কম তাপমাত্রা নারী কুমির এবং বেশি তাপমাত্রায় পুরুষ কুমিরের জন্ম হয়।

এই আর্টিকেল বা অন্য যেকোন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তাৎক্ষনিক উত্তর পেতে আমাদের আপডেট খবর ফোরামে ভিজিট করে প্রশ্ন করুন। Forum: http://updatekhobor.com/forum
প্রাণীজগতের অসাধারণ মা হাতি:
মা হাতি স্থলভাগে সবচেয়ে ভারী শিশুর জন্ম দেয় (প্রায় ১১৩ কেজি)।এদের গর্ভকালীন সময় প্রায় ২২ মাস।সদ্যজাত শিশু হাতি অন্ধ এবং বাঁচার জন্য সম্পূর্ণরূপে মায়ের উপর নির্ভরশীল।গড়ে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয় রপ্ত করে।যা প্রায় মানবশিশুর সমান।
