বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বাংলাদেশের উন্নয়ন

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হলো একটি দেশের অর্থনীতির মূলভিত্তি। একটি দেশের রিজার্ভ যত শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি তত শক্তিশালী। বাংলাদেশ এখন শিল্প বিপ্লবের পথে, এরই মধ্যে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা কাটিয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির মজবুত ভিতের জানান দিচ্ছে। দ্রুত টেকসই উন্নয়নে অনেক উন্নয়নশীল দেশও বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল মনে করছে। তাই এবারের সংখ্যায় আমাদের আয়োজন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বায়লাদেশের উন্নয়ন।
বৈদেমিক মুদ্রার রিজার্ভঃ
বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি রিজার্ভ (Roreign Exchange Reserves) বলতে কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যায়কে বৈদেশিক মুদ্রায় গচ্ছিত সম্পদের মজুদকে বোঝায়। এ গচ্ছিত মুদ্রা প্রধানত আমদানি মুল্য, বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ ইত্যাদি পরিশোধে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত শক্তিশালী মুদ্রা (Hard currency) যা আন্তর্জাতিক বাজারে সহজে বিনিময়যোগ্য (যেমন: মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরো, ইয়েন ইত্যাদি) মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ গড়ে তোলা হয়।

প্রধান উৎসঃ
কোনো দেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বিচারের অন্যতম নির্দেশক হলো সে দেশের রিজার্ভ তহবিলের আকার। বাংলাদেশে বিদেশ মুদ্রার ভান্ডার বা রিজার্ভের প্যধান উৎস দুটি- রপ্তানি ও প্রবাসী আয়। এছাড়া বিদেশী বিনিয়োগ, ঋণও দান-অনুদানও রিবার্ভের আকার নিরূপণে ভূমিকা রাখে।
বৈদেমিক মুদ্রার রিজার্ভ কোথায়-কীভাবে রাখা হয়?
পূর্বে রিজার্ভ সোনার আকারে রাখার নিয়ম থাকলেও এখন প্রধানত রূপান্তরযোগ্য নানা বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভ সংরক্ষণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজারেভর একটি বড় অংশ জমা রাখে বিদেশী ব্যাংক বিশেষত বিদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোয় খোলা নস্ট্র অ্যাকাউন্টে (Nostro account) যেখানে সংশ্লিষ্ট দেশের মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ করা হয়।
বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে প্রধান মুদ্রাগুলোর বিনিময় হার এবং সুদহার বেশ ওঠানামা করায় সম্পূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক মুদ্রায় রাখাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং সংগত কারনেই বাংলাদেশ ব্যাংক তার রিজার্ভ বিভিন্ন মুদ্রায় রাখে। বর্তমানে বিশ্বের শক্তিশালী ১১টি মুদ্রায় রিজার্ভে অর্থ সংরক্ষণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি আছে ইউএস ডলারে। পোর্টফোলিও বহূমুখী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের একটি অংশ আবার স্বর্ণ ক্রয় করতে ব্যবহার করে থাকে।
বৈদেমিক মুদ্রার রিজার্ভ এর প্রয়োজনীয়তাঃ
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে মনে করা হয় দেশের অর্থনীতির নিরাপত্তার বলয়।কোনো দেশের বৈদেশিক দায় দেনা পরিশোধের সক্ষমতা বিচারের অন্যতম নির্দেশক তার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।কেননা আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। রিজার্ভ একটি দেশের ক্রান্তিকালীন সময়ের অক্সিজেন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই একটি দেশের অর্থনীতিতে রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
বৈদেমিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির প্রধান কারণঃ
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা সঞ্চিতিতে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটছে।গত বছর কোভিডের মধ্যেও রিজার্ভের আকার ব্যাপক হারে বেড়েছে।প্রধানত কয়েকটি কারণে এ রিজার্ভের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণগুলো হলো-
- রিজার্ভ বৃদ্ধির প্রধান কারণ প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। সরকার প্রবর্তিত ২ শতাংশ প্রণোদনার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক গতি চলমান রয়েছে।
- দেশে বাণিজ্য ভারসাম্যে অনুকূল অবস্থা বিরাজ করছে। করণ করোনার প্রভাবে রপ্তানি কমার পাশাপাশি ব্যক্তি ও সরককারি উভয় পর্যায়ের আমদানি স্থবির অবস্থায় রয়েছে।
- কোভিড-১৯ এর প্রভাবে অর্থনৈতিক ধীরগতির কারণে একদিকে বিদেশী সাহায্য বা ঋণ ব্যবহার কম হয়েছে, অন্যদিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সংকট মোকাবিলার জন্য বৈদেশিক সহায়তার বাড়তি প্রবাহের সৃষ্টি হয়েছে। যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ব্যবহারঃ
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারি বন্ডে রিজার্ভের অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের পর্যবেক্ষণে এসেছে জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার কিছু উন্নত দেশে রিজার্ভের অর্থ ব্যবহারের অনেক উদাহরণ রয়েছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারের চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এর বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগঃ
রিজার্ভের অর্থ বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা নিয়ে পাঁচ বছর ধরেই আলোচনা চলছে। নতুন করে আলোচনাটি ওঠে কোভিড-১৯ চলাকালীন এ বছরে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংককে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে চিঠি পাঠায়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ বিভাগকে জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ অনুযায়ী কোনো প্রকল্পে রিজার্ভ ব্যবহারের সুযোগ নেই।তবে রিজার্ভের অর্থ ব্যবহার করতে সরকারকে নিশ্চয়তাদানকারী (গ্যারান্টার) হতে হবে এবং রিজার্ভ থেকে মার্কিন ডলারে কেউ অর্থ নিলে মার্কিন ডলারেই তা ফেরত দিতে হবে।

বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ব্যহার করে উন্নয়ন তহবিল গঠনঃ
রিজার্ভ বা মজুদের অর্থ দিয়ে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ‘বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল’ (Bangladesh Infrastructure Development Fund-BIDF)
নামে একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়। তহবিলটির বার্ষিক বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। এ অর্থ বিদ্যুৎখাত ও বন্দর উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে। প্রাথমিকভাবে রিজার্ভ থেকে এ তহবিলের মাধ্যমে ৫,৪১৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে। এলক্ষ্যে ১৩ জুন ২০২১ বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জেন ডি নুলের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সম্প্রতি শ্রীলংকা বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ভুগছে। বর্তমানে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে মাত্র ৪০০ কোটি ডলার।এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মানা সম্ভব নয়। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে শ্রীলংকা সরকারকে ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার চিন্তা করছে। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি সোয়াপের আওতায় এ ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। সাধারণত বৈদেশিক মুদ্রার দিক থেকে অতি দুর্ভল দেশের পাশে দাঁড়ানোর অংশ হিসেবে কারেন্সি সোয়াপ করা হয়। এর জন্য ২ শতাংশ হারে সুদ পাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে তা হবে কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কারেন্সি সোয়াপের প্রথম ঘটনা।
বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এর করোনায় নতুন চ্যালেন্জঃ
ফেরত আসা প্রবাসীরা আর্থিক সংকটে থাকায় হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছেন। এমনিতেই দেশে বেকারের সংখ্যা বেশি, তার ওপর করোনার কারণে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্ম হারিয়েছেন অনেকে। অন্রদিকে বেসরকারি বিনিয়োগও বাড়ছে না।ফলে সহসাই কর্মসংস্থানের অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাই বিদেশই ভরসা। আর সেটি ধরতে হলে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবলের বিকল্প নেই। দক্ষতা সৃষ্টি ও নতুন নতুন বাজার সন্ধান- যুগপৎ দুই-ই চালিয়ে যেতে হবে। করোনা-পরবর্তী নতুন বিশ্বের জন্য যেসব খাতে দক্ষ লোকের প্রয়োজন, সেই প্রস্তুতিও নিতে হবে এখনই।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বাংলাদেশের উন্নয়নঃ
যেকোনো দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রধানত দুটি ভূমিকা পালন করে। প্রথমত, লেনদেন ভারসাম্য প্রতিকূল হলে বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার দায় পরিশোধে রিজার্ভ ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করে।
দ্বিতীয়ত, এটি কোনো দেশের বৈদেশিক দায় পরিশোধের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নির্দেশ করে।বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি দেশের আমদানি দায় পরিশোধ, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য বাড়ায়, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের উপার্জন- প্রত্যাবাসন সহজতর করে। ফলে দেশে বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ আস, ভালো ঋণ মান এবং স্থিতিশীল বিনিময় হার বজায় রাখতে সহায়তা করে। বিশ্বে মহামারি করোনার আগ্রাসনকে উপেক্ষা করে গত দেড় বছরসহ দীর্ঘ সময়ে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রেরণ করায় তা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহারের নেতিবাচক দিকঃ
করোনার এ সময়ে অনেক দেশেরই ব্যয় বাড়ায় কমছে রিজার্ভ। নিজের দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঠেকাতে বেশ কিছু দেশ রিজার্ভ ব্যবহার করেছে। ব্যাং অব আমেরিকার হিসেবে, উঠতি বাজারের দেশগুলো এ সময়ে ২৪০ বিলিয়ন ডলার এ কাজে ব্যয় করেছে। অর্থনীতিবিদ ও গবেষকেরাও মনে করেন, বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, একটা বড়সড় রিজার্ভ এ সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
বড় সংকটের সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কতটা কার্যকরি হয়, তার উদাহরণ হচ্ছে ২০০৮-০৯ সময়ের ব্রাজিল ও মেক্সিকো। সে সময় যথেষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ থাকায় ব্রাজিল তার মুদ্রার মূল্যমান ধরে রাখতে পেরেছিল, মেক্সিকোর পরিস্থিতি ছিল উল্টো।এ অবস্থায় অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, রিজার্ভ থেকে অর্থ বিনিয়োগের চিন্তা খুবই বাজে ও বিপজ্জনক। সামনে কী ধরনেরসংকট আসবে, তা যেমন জানা নেই। সুতরাং অনেকের মতে রিজার্ভ ধরে রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর মাইলফলকঃ
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ১৮ ডলার দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের যাত্রা হয়েছিল।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮১-৮২ অর্থবছর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে বিদেশি মুদ্রার মজুদ জমতে শুরু করে। ওই অর্থবছর শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১২ কোটি ১০ লাখ ডলার।১৯৯১-৯২ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলারের ‘ঘর’ অতিক্রম করে ১.৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। ১৯৯২-৯৩ অর্থবছর শেষেই রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ২.২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।
১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর শেষে ৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে তা কমে ১.৭১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২০০৫-০৬ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।২০০৯-১০ অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।এরপর থেকে বেড়েই চলছে অর্থনীতির এ সূচক। আর গড়েই চলছে রেকর্ডের পর রেকর্ড। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
এই আর্টিকেল বা অন্য যেকোন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তাৎক্ষনিক উত্তর পেতে আমাদের আপডেট খবর ফোরামে ভিজিট করে প্রশ্ন করে তাৎক্ষনিক উত্তর জেনে নিন: http://updatekhobor.com/forum