বিনিয়োগব্যবসা বানিজ্য

ব্যাংক জালিয়াতি হতে সাবধানে যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে

ক্রমাগত বেড়েই চলছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জালিয়াতি এবং ফিশিংয়ের ঘটনা।কেন্দ্রীয় সরকার এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ গ্রাহককে ব্যাংক জালিয়াতি এবং ফিশিং সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিল।

দেশের স্বরাষ্টমন্ত্রী নিজের সচেতনতামূলক টুইটার হ্যান্ডল সাইবার সেফটি এবং সাইবার সিকিউরিটি সাইবার দোস্ত “Cyber Dost”– এর মাধ্যমে ব্যাংক জালিয়াতি ও সন্দেহজনক স্প্যাম অথবা জ্যাংক ফাইলের ই-মেইলগুলি থেকে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টকে সেভ করার জন্য স্বরাষ্টমন্ত্রী একটি গুরুত্বপূর্ণ টুইট করেছেন।

স্বরাষ্টমন্ত্রীর টুইটটিতে কী বলা হয়েছিল?

স্বরাষ্টমন্ত্রীর টুইটটিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জালিয়াতি এবং ফিশং এর সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ইউজাররা আলাদা আলাদা দুইটি মেইল অ্যাড্রেস ব্যাবহার করলে সবচেয়ে নিরাপদ থাকবে।একটি অ্যাকাউন্ট ব্যাবহার করবে শুধু যোগাযোগের উদ্দেশ্যে এবং অন্য অ্যাকাউন্টি ব্যাবহার করবে আর্থিক লেনদেনের জন্য।

সাইবার সেফটি এবং সাইবার সিকিউরিটি সাইবার দোস্ত  “Cyber Dost”-জানিয়েছেন যে, অনলাইন প্রতারকদের হাত থেকে প্রাথমিকভাবে ব্যাংক ইউজারদের অ্যাকাউন্টকে রক্ষা করতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ইউজাররা আলাদা আলাদা দুইটি মেইল অ্যাড্রেস ব্যাবহার করবে।একটি অ্যাকাউন্ট ব্যাবহার করবে শুধু যোগাযোগের উদ্দেশ্যে এবং অন্য অ্যাকাউন্টি ব্যাবহার করবে আর্থিক লেনদেনের জন্য।আরও একটি অ্যাকাউন্ট লাগবে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করতে হবে। তারা বলেন যে, আর্থিক লেনদেনে ব্যবহার করা ই-মেইলটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার করা উচিত নয় বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক জালিয়াতি
বাংলাদেশ ব্যাংক জালিয়াতি

Cyber Dost”-জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন ওয়েব ব্রাউজার আছে যেগুলোতে ‘অটো-ফিল’ তথ্য ব্যবহার করে ফোরাম বক্স পূরণ করা হযে থাকে। কিন্তু এই  ‘অটো-ফিল’ তথ্য ব্যবহার করতে নিষেদ করেছেন। ডেবিট কার্ডের ইনফরমেশনগুলো অর্থাৎ সিভিভি, ইনডিং হওয়ার তারিখ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নম্বর গুলো মেনুয়ালি টাইপ করতে হবে।অটো-ফিল টুলস্ এব মাধ্যমে তা পূরণ করলে ডাটাগুলো হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জালিয়াতি হতে সাবধানসাইবার সেফটি এবং সাইবার সিকিউরিটি সাইবার দোস্ত “Cyber Dost”-আরও জানিয়েছেন যে, হ্যাকাররা প্রথমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সদস্যদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। পরে আরো তথ্য সংগ্রহ করার জন্য আত্তীয় স্বজনদের অতিরিক্ত আর্থিক সাহা্য্য দেওয়ার লোভ দেথিয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

ফিশিং (phishing) এর মাধ্যমে হ্যাকাররা ব্যাংক জালিয়াতি করতে পারে।

স্প্যাম বা ভুয়া ই-মেইল অ্যাড্রেস অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের টার্গেট করা ইউজারদেরকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে থাকে।এক্ষেত্রে প্রতারকরা তাদের স্প্যাম করা ই-মেইল বা ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস ফাঁদে ফেলা ব্যাংক ইউজারদের কাছে পৌছায় এবং ব্যাংক ইউজার তাদের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে ঠিকানা, যোগাযোগ নম্বর, ই-মেইল, জন্মতারিখ এধরনের সকল তথ্য পেরণ করে থাকেন। ফলে হ্যাকাররা সহজেই ব্যাংক ইউজারদের সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারে ফিশাররা এবং তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেলে।নিজের ই-মেইলে আসা এধরনের স্প্যাম ই-মেইল অথবা ভুয়া ওয়েবসাইটের লিংক গুলোর উপর ক্লিক করার আগে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।

এই আর্টিকেল বা অন্য যেকোন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তাৎক্ষনিক উত্তর পেতে আমাদের আপডেট খবর ফোরামে ভিজিট করে প্রশ্ন করুন। Forum: http://updatekhobor.com/forum

Show More
Back to top button
ব্রেকিং নিউজ