সঠিক ক্যারিয়ার গঠন এর ১০টি টিপস্

সঠিক ক্যারিয়ার গঠন:- ছাত্রজীবনে প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকে পড়াশোনা শেষ করে আদর্শ ক্যারিয়ার গড়ার। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও পূর্ভপ্রস্তুতির অভাবে অনেকেরই সে স্বপ্ন পূরণ হয় না। তাই সুষ্ঠু পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তোলার জন্য ছাত্রজীবন থেকেই প্রস্তুতি নেয়া আবশ্যক। এ প্রস্তুতি গ্রহণের কিছু কারযকরী উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো-
সঠিক ক্যারিয়ার গঠন এর জন্য নিজেকে নিয়ে গবেষণাঃ
শিক্ষাজীবন তেকেই নিজেকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আপনি কী হতে চান? কী ধরনের কাজ কতে চান? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তরগুলো ক্যারিয়ার গঠনের শুরুতেই খুঁজতে হবে এবং সে অনুসারে পরিকল্পনা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
সঠিক ক্যারিয়ার গঠন এ মনীষীদের জীবন থেকে শিক্ষা নেয়াঃ
মনীষীদের অনেকেই অত্যন্ত দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে বড় হয়েছেন।সফল হতে জীবনকে নির্দিষ্ট নিয়মে পরিচালিত করেছেন। তাদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্যারিয়ার গঠনের পরিকল্পনা তৈরিতে সচেষ্ট হতে হবে।

অভিজ্ঞ মেন্টর বা পরামর্শদাতার সহায়তাঃ
সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন করতে সংশ্লিষ্ট বিয়য়ে অভিজ্ঞদের শরণাপন্ন হতে হবে। একজন অভিজ্ঞ মেন্টর আপনার ক্যারিয়ার ভাবনাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
সঠিক ক্যারিয়ার গঠন ক্যারিয়ার বিবেচনায় রেখে পড়াশুনার বিষয় নির্ধারণঃ
ভবিষ্যৎ বাস্তবতা ও মনের চাওয়ার সাথে সমম্বয় করে পড়ার বিষয় নির্ধারণ করতে হবে। বাস্তবে দেখা যায়, এভাবে ভেবে যারা ক্যারিয়ার গঠনের পথে হেঁটেছেন, তাদের সফলতার হার অন্যদের চাইতে অনেক বেশি।

মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয়াঃ
ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ছাত্রজীবন তেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত য়ো যাবে না। ধৈর্য নিয়ে এ সময় থেকেই জীবন যুদ্ধে লড়তে নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে মানসিক প্রস্তুতি নিন।
কৌশলী হওয়াঃ
ক্যারিয়ার গঠনে সফল হতে কৌশলী হতে হবে। সময়ের সাথে সাথে কৌশলী হবার উপায়গুলো আয়ত্ত করতে হবে। অজানা বিষয়গুলো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জেনে নিতে হবে।
ভীতি কাটিয়ে উঠাঃ
শিক্ষাজীবন তেখে অনেকের মনে নানা ভয় কাজ করে। তাছাড়া আর্থিক অসচ্ছলতা, সামাজিক পরিচয় ইত্যাদির চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। দৃঢ়প্রত্যয়ী হতে হবে, ভয়কে জয় করার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সঠিক ক্যারিয়ার গঠন এ এক্সট্রা কারিকুলার ও কো-কারিকুলার এক্টিভিটিস এ যুক্ত থাকাঃ
এক্সট্রা-কারিকুলার বা সহশিক্ষা গ্রহণ এবং কো-কারিকুলার বা সহশিক্ষঅ গ্রহণ এবং কো-কারিকুলার এক্টিভিটিস-এ যুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করতে হবে। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি জ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ শাখায় বিচরণ করতে হবে।

নিজেকে স্মার্ট করে তোলাঃ
ছাত্রজীবন থেকেই নিজেকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে হবে। ভাষাগত জ্ঞান, কথা বলার মার্জিত ভঙ্গি, যুগোপযোগী পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধানে সচেতন হতে হবে। এছাড়া ইংরেজী ও তথ্যপ্রযুক্তিতে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে।
কাজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেওয়াঃ
নিজের দক্ষতা বাড়াতে হলে আগে নিজের দুর্ভলতাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। দক্ষতা বাড়ানোর কৌশলগুলো জেনে নিতে হবে এবং প্রতিদিনকার কাজে বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।
সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে মানুষের ভবিষৎ জীবনের পূর্ণ সফলতা। তাই সঠিক সময়ে সঠিক ক্যারিয়ার গ্রহণের মাধ্যমে জীবনের চলার পথকে মসৃণ, অর্থবহ ও সার্থক করার কোনো বিকল্প নেই।
এই আর্টিকেল বা অন্য যেকোন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তাৎক্ষনিক উত্তর পেতে আমাদের আপডেট খবর ফোরামে ভিজিট করে প্রশ্ন করে তাৎক্ষনিক উত্তর জেনে নিন: http://updatekhobor.com/forum