বিনোদনলাইফস্টাইল

সন্তান লালন পালন এ সঠিক পদ্ধতি!

সন্তান লালন পালন কে দক্ষ চাষীর সাথে তুলনা করেছেন। কারণ শিশু অনাবাদী তাকে আবাদ করতে হয়।দক্ষ চাষীর মত।একজন দক্ষ চাষী যেমন পারেন সোনার ফসল ফলাতে, তেমনি পেরেন্ডিংয়ে দক্ষ অবিভাবকরাও পারেন সোনার সন্তান গড়ে তুলতে। কিন্তু আপনি যদি পেরেন্ডিংয়ে অভিজ্ঞ না হন্ এবং সন্তানকে নিয়ে যদি খুব দুষ্চিন্তায় থাকেন।তাহলে এই পোষ্টি আপনার জন্যই আমাদের লেখা।

সন্তান লালন পালন এ মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে চলুন যেনে নিই বাচ্চাদের কিছু কমন বৈশিষ্ট্য।

জেদি ও বদ মেজাজি সন্তানের স্বভাব
জেদি ও বদ মেজাজি সন্তানের স্বভাব

i. জেদি স্বভাবঃ-

জেদি স্বভাবের বাচ্চারা কোন জিনিস চাওয়া মাত্র পাওয়াতেই বিশ্বাসী হয়ে থাকে।এর উল্টোটা হলেই মাটিতে গড়া গড়ি পর্যন্ত খাই।আবার যেকোন অঘটন ঘটার হুমকিও দিয়ে থাকে।

ii.বদ মেজাজীঃ-

বদ মেজাজী স্বভাবের সন্তানেরা সামান্যতেই রেগে যায়।আবার সামান্য কিছুতেই অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে থাকে।ঘরের জিনিস ভাঙ্গা ভাঙ্গীতেও এরা ওস্তাদ।দমক তো দূরের কথা সামান্য চোখ রাঙ্গানিতেই কেদেঁ কেদেঁ অস্তির হয়ে যায়।

iii. অলস স্বভাবঃ-

অলস স্বভাবের ছেলেরা অনেকটা মুখ গোমরা হয়ে থাকে।মনে হয় এদের মুখ খোলে হাসিঁ দিতেও কষ্ট হয়। বকা জকা এরা অনায়াসে গিলে ফেলে।

iv. চঞ্চল স্বভাবঃ-

বেশির ভাগ শিশু চঞ্চল স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা বেশ বাচালো কৌতহলি হয়ে থাকে। এদের কোন কিছু শিখার আগ্রহ অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে।

v. লাজুক স্বভাবঃ-

আজ কালকার শিশুরা লাজুক প্রকৃতি স্বভাবের খুব কমই হয়ে থাকে।এরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘর কুড়ে হয়ে থাকে।ক্লাসে ফাস্ট বেঞ্চে বসার জন্য যেখানে অন্যরা মারামারি পর্যন্ত করে থাকে, সেখানে এরা পিছনের বেঞ্চে বসা নিয়ে তা করে থাকে।

vi. ভাবুক স্বভাবঃ-

অনেকটা কবি বা বিজ্ঞানীমনোষ্কদের মত হয়ে থাকে।বর্তমানে বয়স ৫ কিন্তু মনে হয় এরা ৪০ বছর বয়সের কোন রাজনৈতিকবিদ।এদের কাছ থেকে কোন উত্তর পেতে আপনাকে বেশ অপেক্ষা করতে হবে।

এতক্ষণ যে দোষ বা গুণগুলো তুলে ধরলাম তা নির্দিষ্টভাবে কারো মাঝে স্থায়ী নয়। পরিবেশ ও বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন জনের কাছে তা বিভিন্নভাবে প্রকাশ হতে পারে। তবে এই গুণ বা দোষগুলোর জন্য কিন্তু শিশু মোটেও দায়ী নয়। দায়ী হলেন আপনি ও আপনার আশেপাশের পরিবেশ। কারণ শিশুরা বাবা-মায়ের কথা শুনতে না চাইলেও তারা বাবা-মা দের অনুকরণ করে।

তাই রাগ, জেদ, ঝগড়া ইত্যাদি খারাপ গুণগুলো যগি আপনার মাঝে থাকে, তাহলে আপনার বাচ্চাও এগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের মধ্যে সঞ্চার করার চেষ্টা করবে।যাই হোক, সমস্যা যেখারে সমাধানও সেখানে। আপনার শিশু যদি বস বেবির মত হয়।তবে তাকে কন্ট্রল করার জন্য আপনাকে হতে হবে হ্যাকার পেরেন্টস্।আর এর জন্য সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন তা হলো ধৈর্য।কেননা হ্যাকাররা ধৈর্যের জন্য জগৎ বিখ্যাত।

সন্তান লালন পালনে ধৈর্যের সাথে পেরেন্টিংয়ের জন্য আপনাকে যে কাজ গুলো করতে হবে তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ

শিশুর পুষ্টির জন্য ফল, মূল, দুধ-ডিম, সবুজ শাক-সবজি
শিশুর পুষ্টির জন্য ফল, মূল, দুধ-ডিম, সবুজ শাক-সবজি

১. সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাঃ-

বাচ্চারা আপনার সাথে তর্ক করতে পারে।আপনার কথা সে মানতে চাইবেনা। এটাই স্বাভাবিক। এবং এই বিষয়টি আপনাকেই গ্রহন করতে হবে।এতে আপনি কিছুটা হলেও দুষ্চিন্তা মুক্ত হবেন।

২. সন্তানকে মূল্যায়ন করাঃ-

ভাল কাজের জন্য আপনি আপনার সন্তানকে অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন।যদি সে পরিক্ষায় ৮০% মার্ক পায় এবং আপনার আশা যদি থাকে ৯০% মার্ক পাওয়া তবুও তার প্রচেষ্টাকে উৎসাহ দিতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে।এতে করে আপনাকে প্রজেটিভলি নিবে। এবং নিজের প্রতি আস্তা বাড়বে।

৩. দু:সাহসিক অভিযান করাঃ-

বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা, দৌড় প্রতিযোগিতা, লম্বা ভ্রমণ ইত্যাদি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিজেদের মধ্যে বিদ্যমান থাকলে বাচ্চারা নিজেদের মধ্যে সাহস ও ভরসা পায়। এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভয়ানক এডভেঞ্চারে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

৪. অন্যদের কাছ থেকে উপদেশ দেওয়াঃ-

শিশু লালন পালনের পদ্ধতি
শিশু লালন পালনের পদ্ধতি

উপদেশ দেওয়ার কাজটি শুধু আপনি একাই নিবেন না।আপনার প্রতিবেশি বা আপনার আত্তীয়দের মধ্যে আপনার সন্তান যাদের কথা শোনতে পছন্দ করে।তাদের মাধ্যমে আপনার উপদেশটি দিলে তা খুব সহজেই গ্রহন করবে।

৫. জিজ্ঞাসা করুনঃ-

সরাসরি কোন বিষয় বাচ্চাদের উপর চাপালে তা তর্ক করার সম্ভাবনা থেকে যায়।তাই সরাসরি কোন কিছু না চাপিয়ে দিয়ে তাকে জি্জ্ঞাসা করুন যে তুমি এখনি পড়তে বসো না বলে বলবেন যে, তুমি কি বিকালে পড়তে বসবে? নাকি সন্ধ্যায় পড়তে বসবে? তাহলে সে ধীরে ধীরে দায়ীত্ববান হতে শিখবে।এবং তাকে মূল্যায়ন করার জন্যে সেও আপনাকে মূল্যায়ন করতে শিখবে।

আপনি যদি উপরের ৫টি বিষয় পালন করতে পারেন তাহলে আপনার বাচ্চাদের মধ্যে থেকে অপ্রয়োজনীয় যুক্তি, অযথা রাগ, অহংকার ইত্যাদি বিষয়গুলো কমে যাবে এবং আপনার কথাগুলো ধীরে ধীরে শোনতে শুরু করবে।

আরও ১০টি আইডিয়া সম্পর্কে নিম্নে দেওয়া হল।

শান্ত থাকাঃ-

একটা বিষয় প্রায়ই দেখা যায় যে, বাবা-মা নিষেদ করার পরও সন্তান যখন সে কাজটি করে এবং ফলে যখন কষ্ট বা ব্যাথা পায়।তখন বাবা-মা উল্টো এসে মারে।কিছুটা এরকম যে, তকে কতকরে বললাম যে গাছে উঠিস না।পড়ে গেলিতো। তর আরও ব্যাথা পাওয়ার দরকার।ভুলেও এগুলো করবেন না।কারন সে তো এমনিতেই ব্যাথা পেয়েছে।তার উপর আপনি কাটা গায়ে নুন ছিটাচ্ছেন।এতে সে মানুষিকভাবে বিষন কষ্ট পাবে।এবং গাছে উঠা তো দূরের কথা আরও অন্যান্য নতুন কাজ করতেও সে ভয় পাবে।কিন্তু আপনি যদি তার কাছে গিয়ে যদি এইভাবে বলেন যে, বাবা ব্যাথা পেয়েছো? দাড়াও একটু বরফ লাগিয়ে দেয়।এর পর গাছে উঠার আগে আমাকে অবশ্যই সাথে নিও।একা একা উঠতে যেওনা।বিশ্বাস করেন পরের বার আপনাকে সে সাথে নিয়ে কাজ করবে।

শাসন করাঃ-

আরেকটি বিষয় বেশির ভাগ বাবা-মা’রা যা করে থাকেন তা হলো নিজের সন্তানের ভুলটি এড়িয়ে গিয়ে অন্যের সন্তানকে শাসন করা।আপনার সন্তানের সাথে যদি ঝগড়া হয় সেক্ষেত্রে বিচার করতে হবে নিরপেক্ষ হয়ে।যার ভুল তাকে বুঝিয়ে বলবেন।আর যদি আপনার সন্তানের ভুল থাকার সত্যেও এড়িয়ে যান তাহলে সে আষ্কারা পেয়ে যাবে।এবং পরবর্তী কাজটা সে আবার করবে।আর ভুল ট্রুটি যতই হোক না কেন নিজের বা অন্যের সন্তানের উপর হাত তুলবেন না।আপনার বাচ্চা যেমন কষ্ট পায় তেমনি অন্যের বাচ্চাও কষ্ট পায়।আর ভুলটা যদি আপনার ভাই-বোন বা ছেলে-মেয়ে করে থাকে তাহলে তাকে দমক দিতে পারবেন। না কখনোই না।তাহলে কেন এই বৈষম্য?

ভালবাসার প্রকাশঃ-

আপনার শিশুকে আপনি কতটা ভালবাসেন তা শুধু আপনার মনেই মাধ্যমেই নয় কাজের মাধ্যমেও প্রকাশ করুন।নামের সাথে বাবা-মা, সোনা-ময়না ইত্যাদি যেটা বলতে ভাল লাগে সেইভাবে ডাকার চেষ্টা করুন।যত কাজিই তার কাছ থেকে করিয়ে নিন না কেন সবটুকুই ভালবাসার মাধ্যমে করাতে হবে।জোর করে করানো যাবে না।

কখনো দমক দিয়ে বা মেরে কোন কিছু নিষেদ করবেন না।বরং বেশ কয়েকবার বুঝিয়ে বলুন।তারপরেও যদি কোন ক্ষতি করে বসে এবং সে ভুল স্বীকার করে।তবে তাকে গ্রহণ করুন।আপনি তাকে নিষেদ করার সত্যেও আপনার পছন্দের বস্তটি সে ভেঙ্গে ফেলেছে।এবং আপনার কাছে ভুল স্বীকার করেছে।এক্ষেতে তাকে গালি গালাজ না করে বুঝিয়ে বলুন।আর যদি আপনি কোন ধরনের বকাজকা করেন তবে এথেকে সে নিজেও নুংরা কথা শিখবে এবং এক সময় আপনাকে সে বলে দিতেও দ্বিধাবোধ করবে না।

আর ‍যদি মনে করেন যে ধমক দিয়ে কাজ হবে বরং তা ভুল হবে

ক. হয় সে দ্বিগুণ ক্ষতি করবে।

খ. নয়তো সে চুপ মেরে যাবে, ফলে নতুন কিছু শেখার কৌতূহল হারিয়ে ফেলবে।

ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ভাগ করে নেওয়াঃ-

মাঠে নিয়ে খেলাধুলা বা হাটা হাটি করান
মাঠে নিয়ে খেলাধুলা বা হাটা হাটি করান

সমাজে অন্যায় কাজ থেকে ভাল মানুষেরা বিরত থাকে দু্টি কারণে

i. ধর্মীয় ভয় বা সৃষ্টিকর্তার ভয়ে।

ii. সরকারের আইনে।

তাই বাচ্চাকে ধর্মীয় রীতিনীতি সম্পর্কে ভাল ভাবে অবিহিত করুন।বাচ্চারা তো পরিবারের বড়দের দেখে শিখে।সদাচন শিখানোর আগে নিজেকেও একটু যাচাই করুন।নয়তো বাচ্চা নিজেই বলবে আব্বু-আম্মু এটাত তোমরাই করনা।আর আমাকে বলছ? কি লজ্জাকর ব্যাপার তাইনা? শেয়ারিং বিষয়টা বাচ্চারা সারা জীবন যা শিখে তাই পালন করে।

আবার ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেওয়ার সময় বাচ্চার হাত দিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করুন।এতে তার মনের মধ্যে সাহা্য্য অনুভুতি সৃষ্টি হবে।শেয়ারিং বিষয়টা যে শিশুর মধ্যে যতবেশি হয় সে শিশু ততবেশি উন্নত ও ভাল মানুষে পরিনত হয়।

সন্তান লালন পালন এ উত্তর দেওয়া, গল্পকারঃ-

আগ্রহি করে তুলা ও গল্পের মাধ্যমে শিখানো।শিশুদের আগ্রহের কোন সীমা নেই।তারা সব অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহি।তাদের এই আগ্রটাকে দরে রাখার চেষ্টা করেন।যতই প্রশ্ন করুক না কেন। আপনি সবগুলোর প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করুন।সে যদি সেক্সচুয়াল কোন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে বসে তাহলে একটু দূর দিয়ে ‍উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।ভুলেও মিথ্যা বলবেন না।আর মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন শিশুদের সেক্সচুয়াল বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা খুবই জরুরী এতে সে আগে থেকেই খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবে।ছন্দের মাধ্যমে শিশুদের শিখানো অনেক বেশি কার্যকর। আপনার শিশুর যদি হাত না ধুয়ে খাওয়ার বদঅভ্যাস থাকে।তাহলে তাকে সরাসরি ধমক না দিয়ে এটা বলেন যে আমার এক বন্ধুর মেয়ে হাত না ধুয়ে খেত হঠাৎ তার পেট খারাপ হয় ডাক্তার অনেকগুলো ইনজেকশনও দিয়ে ছিল।দেখবে আপনার এই গল্পের মাধ্যমে সে নিজে থেকেই হাত ধুয়ে খেতে শুরু করবে।

সন্তান লালন পালন এ একটি মজার এবং প্রেরণাদায়ী স্পিকার হনঃ-

মজার এবং প্রেরণাদায়ী স্পিকার
মজার এবং প্রেরণাদায়ী স্পিকার

শিশুর মন খেলার ছল ও আনন্দের মাধ্যমে শিখার আগ্রহি। তাই গল্প, ছবি, ভিডিওর মাধ্যমে শিশুকে শিখানো খুবই জরুরী।জোর করে ৩ ঘন্টা পড়ানোর চেয়ে আদা ঘন্টা বুঝিয়ে পড়ানোর অনেক বেশি কার্যকরী।সচেতন গার্ডিয়ানরা একটি কাজ বেশি করে থাকেন।তাহলো রেজাল্ট খারাপ করলে বা মার্ক কম পেলে বাচ্চাদের মার দর বা প্রচন্ড শাসন করে থাকেন।কিন্তু বাবা-মাদের উচিত শাসন না করে তাকে সাহস দিয়ে পর্বতীতে রেজাল্ট ভাল করার উৎসাহ দেওয়া।তুমি পর্বতীতে পরিক্ষায় ভাল করবে।আমি জানি তুমি পারবে।যত বেশি পারেন তাকে মডিভ করেন।কিন্তু সে যদি কোন বিষয়ে দুর্বল থাকে সেটা তাকে বলা যাবে না।তাকে বলতে হবে যে, তোমার মনে হয় ঐই বিষয়টা একটু বেশি করে পড়া দরকার।এতে সে সাহস নিয়ে পড়তে বসবে।

আশে-পাশে লক্ষ করলে দেখতে পারবেন যে, অনেক ভাল ছাত্র অনেক খারাপ হয়ে গেছে আবার অনেক খারাপ ছাত্র অনেক ভাল হয়ে গেছে।তাই সৃষ্টিকর্তা কাকে কখন কোন অবস্থায় ফেলবেন তা আমরা কেউই বলতে পারিনা।

তাই ছোট থেকে আপনার শিশু যতগুলো পড়া মুখস্ত করলো যতগুলো সার্টিফিকেট অর্জন করলো তা হিসাব না করে বরং এটা বুঝার চেষ্টা করেন যে, সে মানুষের গুনাবলি অর্জন করতে পেরেছে কিনা।কারন আপাত দৃষ্টিতে আপনাকে কাক্ষিত ফলাফল না এনে দিতে পারলেও। এক সময় ঠিকই আপনাকে সমাজের কাছ থেকে সুনাম এনে দিবে।এবং শেষ বয়সেও তাদেরকে কাছে পাবেন।

জীবনের লক্ষে্ পৌছানোর জন্য পরিশ্রম খুবই জরুরী।স্টিভ জবস, বিল গেটস, জ্যাক মা’র মত বিখ্যাত সব ব্যাক্তি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করতে পারেনি অথচ তারা সাফল্যের চুড়ান্ত শিখরে পৌঁছেছেন।শুধু মাত্র তাদের বিশ্বাস আর পরিশ্রমের মাধ্যমে।তাই সন্তানকে ছোট থেকে বিশ্বাসী করে গড়ে তুলুন।যেকোন সময় সে কোন কাজে ব্যার্থ হলে বার বার তাকে উৎসাহ দিন।এবং বলেন যে, বাবা তুমি পারবে।বিশ্বাস করুন আপনার এই ছোট কথায় তার মনে যে শক্তি জোগাবে তা পৃথিবীর অন্য কেউ দিতে পারবেনা।

সন্তান লালন পালন এ সুস্বাস্থ্য জীবনঃ-

সুস্বাস্থ্যের জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই।আজকালকার ছেলে মেয়েরা কম্পিউটার বা মোবাইল গেমসের দিকে বেশি ঝুকে পড়েছে।এতে তারা খোলা মাঠে মুক্ত বাতাসে খেলার কথা ভুলে যায়।তাই পিতা-মাতা হিসেবে আপনার করনীয় হলো দিনে আপনার বাচ্চাকে কম পক্ষে ১/২ ঘন্টা মাঠে নিয়ে খেলাধুলা বা হাটা হাটি করান।খেলতে গেলে পড়াশুনা নষ্ট হয় এই ধারনা এক দমই ভুল।বরং সে মানুষিক ও শারিরীকভাবে পড়ার জন্য প্রস্তুত হবে।তবে এক্ষেত্রে ভাল খেলার সাথী থাকা অবশ্যক।

সন্তান লালন পালন এ ঘুম ও খাবারঃ-

পর্যাপ্ত ঘুম ও সুষমও খাবার
পর্যাপ্ত ঘুম ও সুষমও খাবার

শিশুর সঠিক বেড়ে উঠা ও উন্নত ব্রেনের বিকাশ নিশ্চিত করনে পর্যাপ্ত ঘুম ও সুষমও খাবারের কোন বিকল্প নেই।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সুষমও খাবার ঠিকমত দিতে হবে।মাসে একবার ডাক্তার দেখানো ভাল।শিশুর পুষ্টির জন্য ফল, মূল, দুধ-ডিম, সবুজ শাক-সবজি ইত্যাদি পুর্টিন জাতীয় খাবার দিতে হবে।

সন্তান লালন পালন এ শিশুর জন্য সময় দেওয়াঃ-

আজকে আপনার শিশুকে কতটুকু সময় দিচ্ছেন সেটার উপর নির্ভর করছে সে ভবিষ্যতে আপনাকে কতটুকু সময় দিবে। কাজের বুয়া বা ডেকে আনা শিশুকে দিয়ে ভাববেন না যে, আপনার দায়িত্ব শেষ।ধরে নিন, বৃদ্ধ বয়সে আপনার দায়িত্ব নেওয়ার কেউ থাকবে না।আপনার শেষ আশ্রয় হতে পারে বিদ্ধাশ্রমে।

এই আর্টিকেল বা অন্য যেকোন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তাৎক্ষনিক উত্তর পেতে আমাদের আপডেট খবর ফোরামে ভিজিট করে প্রশ্ন করুন। Forum: http://updatekhobor.com/forum

Show More

Related Articles

Back to top button
ব্রেকিং নিউজ