ডায়েট এবং ফিটনেসস্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য ও মন ভালো রাখার ১০টি টিপস

স্বাস্থ্য ও মন -:-  আমরা অনেকেই সকালের খাবার অনেক দেরি করে খেয়ে থাকি। সকালের খাবার খেতে খেতে প্রায় দুপুর করে ফেলি। এমনটা যেন না করি। সকাল  টার মধ্যে যেন সকালের খাবার খেয়ে নিতে পারি।কারন আমাদের ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে আমাদের সারারাত না খাওয়ার যে অভাব তা পূরণ করে।

রাতের খাবারও রাত ৮টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে কারন বিকাল হওয়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের এনার্জি কমতে থাকে ফলে রাতের খাবার ৮টার সময় খাওয়ায় উপযুক্ত সময়। খাবার খাওয়ার প্রায় (২-৩) ঘন্টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে আমরা সুস্থ্য থাকবো ভাল থাকবো।

স্বাস্থ্য ও মন ভালোরাখার ১০টি টিপসঃ


০১।পর্যাপ্ত পরিমান খাবার খাওয়া

পর্যাপ্ত পরিমান খাবার খাওয়া
পর্যাপ্ত পরিমান খাবার খাওয়া
পর্যাপ্ত পরিমান খাবার খাওয়া

আমরা একবারে বেশি করে খাবার খাওয়ার চেয়ে যদি দিনে (৫-৬)বার পরিমান মত খাবার খেতে পারি এবং তা অধিক উত্তম হবে। আমাদের দেশের লোকজন এবং আমরাও দিনে প্রায় তিনবার খাবার খায়।সকালে খায়, দুপুরে এবং রাতে খাবার খেয়ে থাকি। এর মাঝ খানে প্রায় আর কোন খাবারি খাইনা। এর ফলে যা হচ্ছে আমরা প্রথমে শরীরকে এতটা পরিমান পুষ্টি দিচ্ছি যা সেই পরিমান শরীরের দরকারী নেই এতে অতিরিক্ত পুষ্টিগুলো নষ্ট হয়ে যায়।কিন্তু  ঘন্টা পর দেখা যায় যে একটানা (২-৩)ঘন্টা কোন পুষ্টিই দেয়না।

এর চেয়ে ভাল হবে যদি আমরা দৈনিক (৫-৬)বার পরিমান মত খাবার খায়।এতে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য দুটুই ভাল থাকবে এবং মনোবল ঠিক থাকবে।

০২। পুষ্টির জন্য ফল খাও, টেস্টের জন্য নয়।

পুষ্টির জন্য ফল খাও, টেস্টের জন্য নয়।
পুষ্টির জন্য ফল খাও, টেস্টের জন্য নয়।
পুষ্টির জন্য ফল খাও, টেস্টের জন্য নয়।

আমরা যখন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর টেস্টকে চাইনা শরীর চাই পুষ্টি। আমরা বাহিরের বিরীয়ানি, বার্গার, পাস্তা, নোডলস্, পিজ্জা খাচ্ছি এর মধ্যে সামান্য পরিমানে গ্লুকোজ, ক্ষতিকারক তৈল রয়েছে।এই ক্ষতিকারক তৈল আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি করে থাকে।

তাই যখন আমরা খাবার খাবো তখন মাথায় রাখবো খাবার গুলো যেন স্বাস্থ্য সম্মত হয় এবং পুষ্টিকর হয়।কারণ বেশি টেস্টি খাবার খেতে গিয়ে আমরা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করছি।

খাবারের পাশাপাশি আমরা কাঁচা টাটকা সবজি খেতে পারি।

০৩। নিয়মিত পানি খাওয়া

স্বাস্থ্য ও মন -নিয়মিত পানি খাওয়া
স্বাস্থ্য ও মন -নিয়মিত পানি খাওয়া
নিয়মিত পানি খাওয়া

আমাদের শরীর (৬০%-৭০%) পানি দিয়ে তৈরী।পানি আমাদের শরীরের ট্রান্সপোর্টেশন হিসেবে কাজ করে।আমরা যারা খুব পরিশ্রম করি তারা দৈনিক (৫-৮)লিটার পানি পান করবো।আর আমরা যারা তুলনা মূলকভাবে কম পরিশ্রমি তারা দৈনিক (৩-৫)লিটার পানি পান করবো।

০৪।নিয়মিত ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম

পুষ্টির পরে যদি সুস্বাস্থ্যের কোন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে তা হল নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম।প্রতিদিন একজন সু্স্থ্য স্বাভাবিক মানুয়ের (১:০০-১:৩০)মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।অনেকেই সময়ের জন্য ব্যায়াম করতে পারেনা। তাদের জন্য যখন তারা কলেজ বা অফিসে যায় তারা লিফট ব্যাবহার না করে সিঁড়িঁ ব্যাবহার করতে পারেনে। একটানা বসে কাজ না করে মাঝে মাঝে দাড়িঁয়ে কাজ করতে পারে। মুসলমানদের জন্য পাচঁ ওয়াক্ত নামাজিই হল সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত এবং ব্যায়াম।

যেমনি মেডিটেশন করলে আমাদের ব্রেইন বা মাইন্ড পাওয়ার বাড়ে ঠিক তেমনি নিয়মিত ব্যায়াম করলে আমাদের শরীর সুস্থ্য থাকে ভাল থাকে।

০৫। পরিমিত লবণ এবং চিনি ব্যাবহার

একজন সুস্থ্য মানুষের্ দৈনিক (৪-৫) গ্রাম লবণ এবং চিনি প্রয়োজন।এবং তা আমরা প্রতিদিনের খাবারের মধ্যেই পেয়ে থাকি। আলাদা করে আমাদের বাহির থেকে যোগ করতে হয় না।তাই আমরা যতটা কম পরিমাণ খাবারে লবণ এবং চিনি ব্যাবহার করতে পারি।যদি আমরা কেউ বাহিরে থেকে যখন কোন খাদ্য দ্রব্য ক্রয় করবো তখন প্যাকেটের গায়ে লবণ এবং চিনির পরিমাণটা দেখে ক্রয় করবো।

০৮। ‍ধুমপান পরিহার করা

ধুমপান পরিহার করা
ধুমপান পরিহার করা
ধুমপান পরিহার করা

ধুমপান বা মধ্যপান আমাদের অনেক ক্ষতিকর পানীয়।যদি আমাদের জীবন থেকে ধুমপান পরিহার করতে পারি তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য অনেক ভাল থাকবে।আমরা যদি খুব কম পরিমান অ্যালকোহল সেবন করি তা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবেনা। বরং উপকারেই আসবে কারন বিভিন্ন অ্যালকোহল আমাদের ঔষধে ব্যাবহার করা হয়।যা আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভাল কাজ করে থাকে।কিন্তু আমাদের দেশের লোকজন যখন কোন অ্যালকোহল পান করে তখন গলা পর্যন্ত পান করে থাকে।যা আমাদের জন্য খুব ক্ষতি কর।

অতিমা্ত্রায় চা, কফি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকি।চা, কফির পরিবর্তে টাটকা ফল গ্রহন করি।

তাই আমাদের সকলের উচিৎ ধুমপান পরিহার করা।

০৯।বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড পরিহার করা

বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড পরিহার করা
বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড পরিহার করা
বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড পরিহার করা

প্রক্রিয়াজাত খাবার, ডুবা তেলে ভাজা খাবার, পাস্তা খাবার,ম্যাগি খাবার, এইসব জাংফুড আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। ব্যাস্ত শহরের লোকজন বেশির ভাগ  রাস্তার খাবার  খেয়ে থাকেন।কিন্তু আমরা যদি বাহিরের প্যাকেট ফুড না ক্রয় করে যদি আমরা একটু সময় করে বাসা থেকে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার তৈরী করে খায়।তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য এবং মন দুটুই ভাল থাকবে।

১০। পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানো

পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানো
পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানো
পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানো

একজন সুস্থ্য মানুয়ের রাতে একটানা (৭-৮) ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন।এখন প্রযুক্তির ‍যুগে আমরা রাত (১-২) টার সময় ঘুমাতে যায় আবার সকাল বেলায় অফিস, স্কুল, কলেজে চলে যায়।এতে আমাদের ঘুমের সময়টা আস্তে আস্তে কমে আসে।ফলে আমাদের শরীর আস্তে আস্তে ভেঙ্গে পড়ে। তাই আমাদের সকলের উচিত ভোরে ঘুম থেকে উঠা এবং রাতে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানো।

এই আর্টিকেল বা অন্য যেকোন বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তাৎক্ষনিক উত্তর পেতে আমাদের আপডেট খবর ফোরামে ভিজিট করে প্রশ্ন করে তাৎক্ষনিক উত্তর জেনে নিনhttp://updatekhobor.com/forum

 

Show More

Related Articles

Back to top button
ব্রেকিং নিউজ